কবুতর পালনের সঠিক পদ্ধতি।
কবুতর একটি শৌখিন পাখি। মানুষ শখ করে কবুতর পালন করে থাকে। বর্তমান সময়ে কবুতর পালন ব্যাপক রূপ লাভ করেছ । অনেক বেকার যুবক কবুতর পালন করে সাবলম্বী হচ্ছে।
কবুতর মুক্ত পদ্ধতিতে বেশি পালন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে খাঁচা পদ্ধতি ও অনেক পরিচিত। কবুতরের চাহিদা বেশি থাকায় এটি একটি লাভজনক ব্যাবসা। বাংলাদেশের যুব সমাজ পড়ালেখার পাশাপাশি কবুতর পালন করে সফল হচ্ছেন।
ভূমিকা :
কবুতর শৌখিন পাখি এটি মানুষ শখ করে পালন করে তাই এর পরিচর্যা ও অধিক পরিমানে করতে হয়। আজ কবুতর পালনের সঠিক পদ্ধতি ও কবুতর পালনের জন্য কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়ে সে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আশা করি অনুচ্ছেদ টি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
কবুতরের ঘর তৈরির সঠিক নিয়ম
কবুতর পালনের আাগে কবুতরের বাস্থান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া আবশ্যক। কবুতরের ঘরের আকার নির্ভর করে কত জোড়া কবুতর পালন করা হবে তার ওপর।সাধারণত কাঠ ও বাঁশ ব্যবহার করে কবুতরের ঘর তৈরি করা হয়ে থাকে। ঘর তৈরির পরে মাটি থেকে ৫-৬ ফিট উচ্চতায় স্থাপন করতে হবে।
যাতে কোনো হিংস্র পশু কবুতরের ক্ষতি করতে না পারে।প্রতিটা ঘরের মাপ ১৫-২০ ইঞ্চি হয়ে থাকে।এই মাপে খোপ তৈরি করলে কবুতর ঠিক ভাবে সেখানে বাস করতে পারে। কবুতরের ঘর এমন জায়গাতে স্থাপন করতে হবে যেন ঘরের মধ্যে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এতে কবুতরের রেগ বালাই কম হয়।
বর্তমান সময়ে আরো অনেক ভাবে কবুতর পালন হয়ে থাকে ঝুড়ি,ক্যারেট ও নেট দিয়ে ঘর তৈরি করে।
খাঁচায় কবুতর পালন পদ্ধতিঅল্প জায়গার মধ্যে কবুতর পলন করার জন্য খাঁচা পদ্ধতি খুবি ভালো।শহরে ছাদে কবুতর পালনের জন্য খাঁচা পদ্ধতি খুবি পরিচিত। এতে কবুতরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তুলনা মূলক কম থাকে। কবুতর হারানোর ভয় থাকেনা।পরিচর্যা সঠিক ভাবে করা যায়।
কী জাতের কবুতর বেশী বাচ্চা দেয়?
কবুতরের বিভিন্ন প্রকার জাত রয়েছে এর মধ্যে গিরাবাজ কবুতর অধিক পরিমানে ডিম ও বাচ্চা ফুটাতে সক্ষম। এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে তাই এরা শক্তিশালী হয়ে থাকে। বাচ্চা ছোট রেখেই আবার ডিম প্রদান করতে পারে। এদের বাচ্চাও অনেক স্ট্রং হয়ে থাকে। এটা তুলনামূলক বেশি উড়তে পারে কারন এদের পাখা অনেক মজবুত হয়।এদের দেহের গঠন তুলনা মূলক ছোট, বাচ্চাও ছোট হয়।
কবুতরের খাদ্য তৈরি
কবুতর কে দানা জাতীয় খাবার সরবরাহ করা উত্তম।খাদ্য তৈরির জন্য একটি পাত্রে পরিমান মতো ধান, সরিষা,ভুট্টা ভাঙ্গা, খুদ,চিনা,গম ও চাউল সব গুলো দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সরিষা শীতের সময় বেশি পরিমানে খাওয়াবেন কিন্তুু গরমের সময় একটু কম পরিমানে খাওয়ানো ভালো। এই মিশ্রত খাবার নিয়মিত সরবরাহ করতে হবে।
কবুতরের খাদ্য তালিকা
কবুতর বিভিন্ন প্রকার দানা জাতীয় শস্য খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। যেমন গম,ধান, সরিষা,ভুট্টা ভাঙ্গা ইত্যাদি। সব সময় খাদ্য দিয়ে রাখলে খাদ্য নষ্ট হয় বেশি ও কবুতরের খাবার প্রতি অনিহা চলে আসে তাই সময় মতো খাবার দিয়ে আবার খাবারের পাত্র সরিয়ে নিয়ে হবে।
কবুতরকে খাবার পানি দেওয়ার সঠিক নিয়ম
কবুতরকে খাওয়ার জন্য পানি একটি পাত্রে দিতে হবে এক্ষেত্রে বাজারে কেনা পাত্র ব্যবহার করা যায়। খাওয়ার পানির পাশাপাশি গোসলের জন্য পানি দিয়ে রাখতে হয়।কবুতর নিয়মিত গোসল করে শরীর পরিস্কার রাখে।তাই পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
কবুতরের চিকিৎসা পদ্ধতি
কবুতরের অনেক রোগ হয়ে থাকে তাই আগে থেকেই ঔষধ সরবরাহ করতে হয়।ঝিমানো রোগের জন্য রিনামাইসিন ট্যাবলেট খাওয়ানে হয়।এছাড়া পানির সাথে ভিটামিন মিশিয়ে খাওয়াতে হয়,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পুরো অনুচ্ছেদ টি আপনার ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধু দের সাথে সেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url