পটলের ফলন বৃদ্ধির ৫ টি উপায়।
পটল একটি বাৎসরিক ফসল।গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে অতিপরিচিত সবজি পটল। বাংলাদেশের সব বিভাগে পটল চাষ হয় না, কুষ্টিয়া,রংপুর,রাজশাহী,যশোর, পাবনা ও বগুড়া জেলায় পটল চাষ হয়। ।
বর্তমানে চাষীরা পটল চাষে অনেক অগ্রসর হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত জাতের পটল চাষ করা অধিক লাভজনক।পটল চাষ করে বংলাদেশের অনেক চাষী সাবলম্বী হচ্ছেন।
ভূমিকা
পটল চাষ করে শত ভাগ সফল হওয়া সম্ভব।বর্তমানে অনেক উন্নত পদ্ধতি আবিস্কৃত হয়েছে যা ব্যবহার করে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। এমন কিছু পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো। পটল চাষ সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ টি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
১)যে ভাবে পটল চাষ করলে শতভাগ সফলতা আসে
সাধারণত বর্ষা কালে পটল চাষ করা হয়ে থাকে। কার্তিক, অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাস পটল চাষের উত্তম সময়।পটলের পরাগায়ন ঘটে বাতাসের মাধ্যমে তাই কৃত্রিম ভাবে পরাগায়নের প্রয়োজন হয় না। একই জমিতে ৩-৪ পটল চাষ করা যায়।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট পটলের অনেক জাত আবিষ্কার করেছেন এর মধ্যে অধিক জনপ্রিয় জাত ২ টি হলো: বারি পটল-১ ও বারি পটল-২। এই ২ জাতের হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৩৪-৩৭ টন।বেড বা মাচা পদ্ধতিতে পটল চাষ করলে ফলন আশানুরূপ হয় এবংচারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
২)পটল চাষের জমি নির্বাচন কৌশল
উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়া পটল চাষের জন্য উপযুক্ত।পটল চাষের জন্য পর্যন্ত তাপমাত্রা ও সূর্যের আলোর প্রয়োজন।বণ্যামুক্ত ও পানি জমেনা এমন বেলে দোঁআশ বা দোঁআশ মাটি পটলের জন্য উপযোগী। নদীর পানি কমে যাওয়ার পরে যে পলিযুক্ত চড় বের হয় সেখানে পটল চাষ করা যায় ও ফলন ভালো হয়।
৩)পটলের জমিতে সার প্রয়োগ পদ্ধতি
চারা রোপনের আগে মাচা বা বেড প্রতি গোবর সার,খৈল, ইউরিয়া, টিএসপি,বোরন ও জিপসাম সার পরিমান মতো প্রয়োগ করতে হবে।ফুল ধরা কমে গেলে গোবর সার, ইউরিয়া, টিএসপি,এমওপি সার প্রয়োগ করলে ফলন আরও বেড়ে যায়।
৪)কোন সময়ে পটলের অধিক পরিচর্যার প্রয়োজন হয়
পটল চাষের আগে পটলের জমিতে পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। জমি তৈরির জন্য প্রথমে ভালো করে জমি চাষ দিতে হবে।প্রয়োজন পড়লে ৫-৬ টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এছাড়া ফুল ধরার সময় পটলের জমিতে পর্যপ্ত পরিচর্যার প্রয়োজন হয় এসময় বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। জমি আদ্র রাখার জন্য সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫)পটলের চারা সঠিক ভাবে রোপন পদ্ধতি
অক্টোবর-নভেম্বর বা ফেব্রুয়ারী-মার্চ পটল রোপনের উত্তম সময়।পটল চাষের জন্য অক্টোবর মাসের আগেই জমি প্রস্তুত করে নিতে হয়।মাটি আদ্র না থাকলে শাখা কলম শুখিয়ে যায় তাই মাটি আদ্র রাখতে হয়।পটল চাষের জন্য ২ টি করে চারা রোপন করতে হয়,একটি পুরুষ ও একটি মহিলা। ১০ টি মহিলা চারা রোপন করলে ১ টি পুরুষ চারা রোপন করতে হবে। বীজ রোপণ না করে লতা রোপন করলে খরচ তুলনা মূলক কম হয়। তাই লতা রোপণ করা অধিক গ্রহণযগ্য।ফল সংগ্রহ:সকাল অথবা বিকালে পটল সংগ্রহ করা সবচেয়ে ভালো হয়। সাধারনত ফুল ধরার ১২-১৪ দিনের মধ্যে পটল সংগ্রহ করা যায়।
লেখকের মন্তব্য
এছাড়াও পটলের পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখাদিলে নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তার নিকট পরামর্শ নিতে হবে। অনুচ্ছেদ টি আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধু দের সাথে সেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url